বুধবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে গণপূর্ত অধিদপ্তর জানিয়েছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন না। তাদের পক্ষে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবগণ।
এছাড়া স্পীকার, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাবেন বলে তিনি জানান।
বিজয় দিবস ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত একাধিক শ্রমিকরা বলেন, প্রতি বছর মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে তারা স্মৃতিসৌধ ধুয়েমুছে পরিষ্কার করেন। কিন্তু ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে করোনাভাইরাসের কারণে কোনো অনুষ্ঠান হয়নি। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে গত ১৫ দিন ধরে ২০-২৫ জন শ্রমিক মিলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন।
বরাবরের মতো এবারও জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের কোনো কমতি নেই। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসিটিভির পাশাপাশি বসানো হয়েছে অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকাজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারও প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছিল বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সৌধ এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারী বাড়নোসহ নিরাপত্তার স্বার্থে সৌধের আশপাশের চলাচলকারীদেরও তল্লাশি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, “এবার সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হচ্ছে। তাই আমাদের স্মৃতিসৌধে যারা আসবেন তারা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসবেন।”
বাড়তি আয়োজন হিসেবে এ বছর পুলিশ সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দায়িত্ব পালন করবেন বলে তিনি জানান।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মাননীয় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সামরিক সচিবগণ প্রথমে ফুল দেবেন।
তিনি বলেন, “এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবকিছু করতে হবে। আমাদের অনুরোধ যারাই ফুল দিতে আসবেন তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ফুল দেবেন। মাস্ক পরেই অবশ্যই স্মৃতিসৌধে আসতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ আট মাস বন্ধ ছিল। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের আনুষ্ঠানিকতাও করোনাভাইরাসের কারণে সরকারিভাবে স্থগিত করা হয়েছিল।