পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তাদের প্রত্যাহার করা হয়। তাদের কোর্ট হাজত থেকে প্রত্যাহার করে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যাতারকৃত পাঁচ পুলিশ হলো এটিএসআই শাহ আলম, মুজিবুর রহমান, কনস্টেবল জহির মিয়া, মোছাব্বির ও কোবাদ আলী।
বুধবার দুপুরে একটি হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে আসামি ইকবাল হোসেনকে আদালতে নেওয়া হয়। এখান থেকে এক পর্যায়ে হাতকড়া লাগানো অবস্থায় তিনি পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালের ১৬ জুন সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার উস্তেংগারগাঁও গ্রামে মনোয়ারা বেগম খুন হন। এই ঘটনার পরদিন মনোয়ারা বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা।
২০১৮ সালের ৭ জুলাই সিলেট থেকে আসামি ইকবাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
এই মামলায় ইকবাল হোসেনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন স্ত্রী হত্যা মামলায় জেলা কারাগারে ছিলেন ইকবাল হোসেন। বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা ছিল তার। দুপুরে আদালতে হাজিরা শেষে কোর্ট হাজতে নেওয়া হয় তাকে। কোর্ট হাজতে থাকাকালীন ‘পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে’ হাতকড়া লাগানো অবস্থায় তিনি পালিয়ে যান।
“বিষয়টি পুলিশের প্রথমে নজরে না এলেও জেলা কারাগারে নেওয়ার সময় গাড়িতে আসামি সংখ্যা একটি কম হলে বিষয়টি ধরা পড়ে।”
তাকে ধরতে অভিযান চলছে বলে এসপি জানান।