রোববার ভোররাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির রূপকারী ইউনিয়নের পাকুজ্জ্যাছড়িতে তার বাড়িতেই প্রাণ হারান তিনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত রতনপ্রিয় চাকমা ধীমান (৩৫) নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা)’র নেতা প্রগতি চাকমার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিলেন। আগের দিন ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, নিহত রতন চকমা নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমার দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ছুটিতে বাড়িতে আসেন। রাতে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। এ সময় এক দল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলি করে পালিয়ে যায়।
গত এক বছর আগে তিনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস থেকে পদত্যাগ করে জেএসএস (এমএন লারমা) দলে যোগ দেন। এ কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
জেএসএস এমএনলারমার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা বলেন, “ভোররাতে রূপকারী ইউনিয়নের পাকুজ্জ্যাছড়ি এলাকায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। আমরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
এ ঘটনায় সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তিনি।
গত ২০১৮ সালের ৩ মে বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় খুব কাছ থেকে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানও বাসা থেকেই দাপ্তরিক সব কাজ করে থাকেন।