বৃহস্পতিবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আবুল কালাম আজাদ কালু বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর গণপাড়া এলাকার ওয়াহাব খানের ছেলে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফয়জুল হক ফয়েজ জানান, পূর্ব গণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী ২০১৮ সালের ১১ মার্চ স্কুলে যায়। সেদিন স্কুলের টয়লেট বন্ধ থাকায় পাশের কালুর বাড়িতে যায়; ওই সময় বাড়িতে কালু একাই ছিল।
এ সময় কালু সীমাকে টয়লেট থেকে অপহরণের পর নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে।পরে মেয়েটির লাশ গুমের করার উদ্দেশ্যে বস্তাবন্দি করে স্থানীয় একটি কবরস্থানে ফেলে দেয় সে। এর দুদিন পর ১৩ মার্চ কবরস্থান থেকে সীমার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের মা আসামির নাম উল্লেখ করে বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ কালূর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
ফয়জুল বলেন, আসামিকে পৃথক অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। অপহরণের দায়ে তাকে যাবজ্জীবন এবং লাশ গুমের ঘটনায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।