ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিপক রায় জানান,
জেলায় ১১৯টি ইটভাটার মধ্যে ২৫টি অবৈধ; যার মধ্যে চলতি বছরে নবায়ণ করা হয়নি ১৪টির আর পরিবেশ ছাড়পত্র নেই ১১টির।
জেলার সদর উপজেলার মেসার্স এ ফি আই ব্রিকস, মেসার্স মণ্ডল ট্রেডার্স ব্রিকস, মেসার্স লুৎফুন্নেসা ব্রিকস, মধুখালী উপজেলার মেসার্স এ আর ব্রিকস, মেসার্স এম আর ব্রিকস, কে এম জেড আর ব্রিকস, বোয়ালমারী উপজেলার মেসার্স কে বি ব্রিকস ও আহসান কবির হেলাল ব্রিকস, চরভদ্রাসন উপজেলার মেসার্স ফরহাদ হোসেন ব্রিকস এবং ভাঙ্গা উপজেলার মেসার্স হাওলাদার ব্রিকস নামে ১১টি ইট ভাটার পরিবেশ অধিপ্তরের ছাড়পত্র নেই।
এছাড়া জেলার সদরপুর উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে মেসার্স ফকির ব্রিকস নামে একটি ইটভাটার মালিককে গত ২৭ অক্টোবর কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দেয় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ এইচ এম রাসেদ বলেন, এলাকাবাসীর আপত্তির মুখে অভিযোগ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সদরপুরের মেসার্স ফকির ব্রিকসের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আরও যেসব ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া ইট পোড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ অভিযোগের বিষয়ে মেসার্স ফকির ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী এখলাস আলী ফকির বলেন, “প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য আমরা আবেদন করেছি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি কাগজপত্র আমরা হাতেও পেয়েছি।”
“এ বাবদ প্রতিটি ইট ভাটাকে বছরে বিপুল পরিমাণ খরচ হয়। যারা এসব নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে ভাটা চালাচ্ছে তাদের এই টাকা খরচ হয় না। এতে আমরা যারা বৈধ ভাটার মালিক তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।”
এজন্য অবৈধ ও অনুমোদনহীন ইট ভাটা বন্ধে সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মন্তব্য করেন আব্দুর রউফ।
এদিকে যেসব ভাটা মালিকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সঠিক পেয়েছি তাদেরকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিপক রায়ের ভাষ্য।
তিনি বলেন, “যাদের কাগজপত্র যথাযথ নেই তাদেরকে ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নোটিশ দে্ওয়া হবে। এরপর নির্দেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।”“