গাইবান্ধায় স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কনস্টেবলের কারাদণ্ড

গাইবান্ধায় স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় এক পুলিশ কনস্টেবলের এক বছর কারাদণ্ড হয়েছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2020, 05:06 PM
Updated : 22 Nov 2020, 05:12 PM

রোববার গাইবান্ধার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম উপেন্দ্র চন্দ্র দাস আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় দেন। 

দণ্ডিত নবীদুল ইসলাম রাজশাহী রেঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন। তিনি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মধ্য কুড়িয়া গ্রামের প্রয়াত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

রায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়, যা অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর নবীদুল ইসলাম একই উপজেলার পূর্ব ছালুয়া গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে লিপি আক্তারকে বিয়ে করেন। পারিবারিকভাবে বিয়েতে সাত লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। বিয়ের কিছুদিন পর তার বাবার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা নিয়ে আসার জন্য নবীদুল ইসলাম স্ত্রী লিপিকে চাপ দেন। কিন্তু লিপির বাবার যৌতুক দিতে অস্বীকার করেন।

এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে নবীদুল প্রায়ই স্ত্রী লিপি বেগমকে নির্যাতন করতেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়, বলেন জাহাঙ্গীর।

তিনি আরও বলেন, নির্যাতন সইতে না পেরে এক পর্যায়ে লিপি বেগম বাবার বাড়ি চলে যান। লিপি বেগম ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি স্বামী নবীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুক আইনে মামলা করেন আদালতে।

আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, ২০১৯ সালের ৬ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে নবীদুলকে কারাগারে পাঠানো হয়। ছয় দিন কারাভোগের পর দেনমোহরের সাত লক্ষ টাকা পরিশোধের শর্তে তিনি জামিন পান।

তিনি আরও জানান, আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ে নবীদুল ইসলাম দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করেনি। এমনকি তিনি আর আদালতেও হাজিরা দেননি। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রোববার মামলার রায় ঘোষণা করেন।