সিরাজগঞ্জে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান, চারজনের আত্মসমর্পণ

সিরাজগঞ্জে একটি বাড়ি ঘিরে প্রায় সাত ঘণ্টার অভিযান শেষে ‘নব্য জেএমবির চার জঙ্গির’ আত্মসমর্পণ ও গোলাবারুদ উদ্ধারের খবর জানিয়েছে র‌্যাব।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2020, 04:20 AM
Updated : 20 Nov 2020, 03:14 PM

জেলার শাহজাদপুর উপজেলার উকিলপাড়া এলাকায় ফজলুল হকের বাড়িতে শুক্রবার ভোর ৫টা  থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত র‌্যাব এই অভিযান চালায়।

অভিযান শেষে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তোফা সরোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীর শাহ মখদুম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেএমবির রাজশাহী বিভাগীয় কমান্ডার জুয়েল আলী ওরফে মাহমুদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জে এই অভিযান চালানো হয়।

তিনি বলেন, ফজলুল হকের বাড়িতে অবস্থানরত জঙ্গিরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি করে। হতাহতের ঘটনা এড়াতে র‌্যাব কৌশল পরিবর্তন করে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এরপর তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ র‌্যাবের একটি শক্তিশালী দলও ঘটনাস্থলে আসে। এলাকাবাসীকে সতর্ক অবস্থানে রাখে র‌্যাব। ওই বাড়ির আশাপাশের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা সরোয়ার বলেন, পরে সিরাজগঞ্জের ডিবি, সিআইডিসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক দল ঘটনাস্থলে আসে। এরপর র‌্যাব জঙ্গি আস্তানায় প্রবেশ করে।

“এ সময় জঙ্গিরা আত্মসমর্পণে রাজি হয়। র‌্যাব চারজনকে আটকের পর বাড়ি তল্লাশি করে জঙ্গিদের বেশ কিছু সাংগঠনিক বই, দুটি বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ গানপাউডার, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বিস্ফোরকদ্রব্য ও দলের একটি পতাকা উদ্ধার করে।”

তিনি বলেন, “জঙ্গিরা ২৫ দিন আগে ফজলুল হকের বাড়িটি ভাড়া নেয়। তাবলীগ জামাতের কার্যক্রমের অজুহাতে তারা এ এলাকার নিরীহ ও সরল ছাত্রদের দলে ভিড়িয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করছিল। তাদের সাংগঠনিক মিটিংয়ের খবর জানতে পেরে এই অভিযান চালানো হয়।”

আটক চারজন হলেন- পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কিরণ ওরফে হামীম শামীম (২২), সাঁথিয়া উপজেলার নাঈমুল ইসলাম (২১), সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আমিনুল ইসলাম শান্ত (২৫) ও দিনাজপুরের আতিউর রহমান (২২)।

তারা সবাই পাবনার বেড়া উপজেলার আল হেরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা সরোয়ার।