গত সাত মাসে এ জেলায় নয়শ’র বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন; যাদের মধ্যে মারা গেছেন ১৪ জন।
তবে চলতি নভেম্বর মাসে সংক্রণের হার অনেক কমে এসেছে। গত ৯ দিনে জেলায় ১৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ১৩ জনসহ জেলায় মোট আক্রান্ত আছেন ২০ জন। গত অক্টোবর মাসে ৩০ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৬৬ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ছিল।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘সন্তোষজনক’ আখ্যা দিয়ে সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জেলার বলেন, “যদি আমরা সবাই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে মাস্ক পরিধান করি এবং নিয়ম করে হাত ধোয়ার সরকারি নির্দেশনা মেনে চলি তবে করোনা আমাদের আর পরাজিত করতে পারবে না বলেই আমার বিশ্বাস।”
রাঙামাটির করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, এখন আর তেমন লোকজন পরীক্ষার জন্য আসছেন না। আবার আসলেও খুব একটা সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে না।
“অনেক সময় দেখা যায় ২০ জন পরীক্ষা করলে ২/১ জনের পজিটিভ মিলছে।”
বিষয়টি দৃশ্যত ‘ভালো খবর’ মানলেও আসন্ন শীতকে বিবেচনায় নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে এ চিকিৎসক।
তিনি বলেন, “শীতকালে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে এবং শ্বাসকষ্টের ভোগা মানুষজনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন। সুতরাং সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই।”
স্বাস্থ্য বিধি মানার সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রতিদিন শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
গত ৫ এপ্রিল জেলায় প্রথমবারের মতো এক সাথে চারজনের করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায়। এরপর প্রায় নিয়মিত কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হতে থাকে। গত সোমবার পর্যন্ত জেলায় মোট ৯৪৬ জন করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া গেছে বলে তথ্য রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগের।
এ জেলার রোগীদের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে জেলা শহরেই; যার সংখ্যা ৬৮১ জন। আর সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারতের মিজোরাম সীমান্তবর্তী উপজেলা বরকলে। সেখানে মাত্র ৫ জন শনাক্ত হয়েছে।