ফরিদপুরে বেড়িবাঁধের সড়কে ব্যাপক ধস, ‘মেরামতের উদ্যোগ নেই’

ফরিদপুরে শহরের কুমার নদ সংলগ্ন বেড়ি বাঁধের উপর নির্মাণ করা সড়কের অন্তত তিনশ মিটার এলাকা জুড়ে ধসে গেছে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2020, 07:38 AM
Updated : 7 Nov 2020, 07:46 AM

শনিবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের উপর ১৩ ফুট চওড়া সড়কটির সাত থেকে আট ফুট অংশই ধসে পড়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ারও উপক্রম হয়েছে।

গত সোমবার থেকে এ ধসে পড়া শুরু হয় তবে এখনও মেরামতের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি বলছেন এলাকাবাসী।

চুনাঘাট এলাকায় মোহাম্মদ আলীর বাড়ির সামনে এ ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে হুমটির মুখে পড়েছে সড়কের দক্ষিণ দিকের মোহাম্মদ আলী, জাকির হোসন, শেখ করিমের পাকা ও সেমি পাকা বাড়ি। সড়কের উত্তর পাশে নদীর তীর ঘেঁষে হাফিজার শেখ, শিখ মিন্টুর ছাপড়া ঘরও ঝুঁকিতে রয়েছে।

ওই এলাকার এক শিক্ষক জাকির হোসেনের স্ত্রী বেশমা বেগম বলেন, “আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। চিন্তায় সারা রাত ঘুমাতে পারি না, কখন রাস্তাসহ ঘর বাড়ি ভেঙে যায় সেই দুশ্চিন্তায় থাকি।

ওই এলাকার বাসিন্দা আলেপ শেখ অভিযোগ করে বলেন, গত তিন মাস আগে পাউবোর উদ্যোগে খনন যন্ত্র বাসিয়ে নদ খনন করা হয়।

“তখন নদের উত্তর পাড় থেকে দক্ষিণ পাড়ে সড়কের কিনারা ঘেঁষে গভীর গর্ত করে মাটি কাটায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।”

তাদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে পাউবো ও এলজিইডির কর্মকর্তাদের জানানো হলেও তারা ‘ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা কেউ ঘটনাস্থলে দেখতেও আসেননি।’

এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, ধসে

যাওয়া অংশটি তারা পরিদর্শন করেছেন। তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।

“সড়কটি কারপেটিং-এর কাজ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।”

ঘটনা নজরে এসেছে জানিয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রকৌশলী আজাহারুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উদ্যোগ নেওয়া হবে।

১৯৭৬ সালে পাউর্বো শহর রক্ষা বাঁধ হিসেবে এ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। ওই বাঁধের উপর এ সড়ক নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

সড়কটি পশ্চিমে অম্বিকাপুর মহল্লায় অবস্থিত পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের সমাধির কাছ থেকে শুরু হয়ে কুমার নদের দক্ষিণ পাশ দিয়ে পুব দিকে লক্ষ্মীপুর চুনাঘাটা সেতু পর্যন্ত তিন কিলোমিটার বিস্তৃত।

এলাকাবাসী জানায়, ওই এলাকার বাসিন্দাদের উদ্যোগে চলতি ভাঙনের জায়গায় ছোট ছোট লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে। এছাড়া পুর্ব পাশে ভাঙনের শুরুতে বাঁশের বেড়া ও পশ্চিমপাশে বাঁশঝাড়ের ঝোপ অংশ বিশেষ কেটে এনে জড়ো করে রেখেছে।