বৃহস্পতিবার গরম কাপড় ছাড়া বের হওয়া মানুষ রাতে বাড়ি ফেরে ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে।
শুক্রবার সকালে কুয়াশা থাকায় সূর্যের দেখাও মিলছে একটু বিলম্বে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, তাপমাত্র ২৫ ডিগ্রি থেকে একলাফে নেমে এসেছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাই হঠাৎ শীতের মধ্যে পড়েছে মানুষ।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, মূলত আরও দুদিন আগেই শীত পড়া শুরু হতো; আকাশ মেঘলা থাকায় তা অনুভুত হয়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মেঘ সরে গিয়ে আকাশ পরিষ্কারর হয়ে শীত নামে আচমকা। একই সঙ্গে হালকা বাতাসও ছিল।
তিনি জানান, গত কয়েকদিন ২৪/২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় তা নেমে আসে ১৮.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রাত ১২টায় রেকর্ড করা হয় ১৬.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শুক্রবার সকাল ৬টায় ছিল ১৪.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সামনে তা আরও কমবে বলে জানান এই আহাওয়া কর্মকর্তা।
এদিকে হঠাৎ শীতে কাবু হয়ে পড়েন গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষেরা। দূর্ভোগে পড়েছেন শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও।
একই কথা বলেন শ্যামলী এন আর ট্র্যাভেলস-এর ঢাকাগামী যাত্রী আব্দুর রহিম।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শ্রীমঙ্গল শহরের হবিগঞ্জ রোডের সুমন মার্কেটে বেশ কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষকে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
সেখানে অবস্থানকারী পাওয়ার টিলার মেকানিক বাবুল মিয়া বলেন, তিনি একটি মেশিন মেরামতের কাজ করছেন; তাই বাড়ি যেতে পারছেন না। তার সঙ্গে গ্রাম থেকে আসা ওই মেশিনের মালিকসহ আরও কয়েকজন ছিলেন। তারা শীতে কাঁপছিলেন। শীত থেকে বাঁচতে পাশে তারা খড়কুটো দিয়ে আগুন ধরিয়েছেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইউছুপ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার বর্ধিতকরণ ও বন্ধ থাকা নির্বাচন নিয়ে তারা একটি নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন; কিন্তু হঠাৎ শীত পড়ায় তারা সভা সংক্ষিপ্ত করে ফেলেন।