বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। শুক্রবার বেলা ১২টার মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে লাগাতার কর্মবিরতির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
এ সময় বিপাকে পড়তে হয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের।
প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে আসেন হাসপাতালের পরিচালক ডা.বাকির হোসেন, উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক ও মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. এসএম সারওয়ার। তাদের আশ্বাসে সাময়িক সময়ের জন্য কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে জরুরি বিভাগ খুলে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিশেনের সভাপতি স্বজল পাণ্ডে সাংবাদিকদের বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে লাখ লাখ টাকা কমিশন বাণিজ্য করছেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারি রেজিস্ট্রার ডা.মাসুদ খান। এর প্রতিবাদ করায় তিনি সামাজিক মাধ্যমে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে মানসিকভাবে হয়রানি করছেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তার উপর হামলা চালিয়েছে, এমন মিথ্যা অভিযোগ এনে পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ডা.মাসুদ খান। এর বিপরীতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও তার বিচার দাবি করে পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা শুক্রবার তা খোঁজ নেওয়া হবে। তারা যাতে কোনভাবে হয়রানি না হয় সে ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে সহকারী রেজিস্টার ডা. মাসুদ খান বলেস, নিম্নমানের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রোগীদের পাঠাতো কতিপয় ইন্টার্ন চিকিৎসক। এর প্রতিবাদ করায় তারা তার উপর হামলা চালায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও বিচার পান নি বলে দাবি এ চিকিৎসকের।