গত বুধবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণ বরগুনাসহ উপকূলে শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
বরগুনা জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি জমেছে। টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে বরগুনার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদী।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মাহতাব হোসেন জানান, শুক্রবার সকালের জোয়ারে বরগুনার তিনটি নদীর পানিই স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ফুট বেড়েছে।
বুধবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বরগুনায় ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতে উপকূলীয় নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোয় বাড়ি-ঘর ফসলি জমি ও মাছের ঘের বানের পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃষ্টিতে শ্রমজীবী মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। বিশেষ করে বরগুনার আবাসনের কয়েক হাজার বাসিন্দা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
জেলা ডিসি মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন, আমনের মৌসুমে ধানে শীষ ধরেছে। এমন বর্ষণে জেলার কয়েক লাখ হেক্টর আবাদি আমনের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও শীতের আগাম সবজি চাষও চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে।
তবে আগামী শনিবারের আগে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান জানানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গ হয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে অবস্থান করা নিম্নচাপের জেরে আরো দুইদিন ভারী বৃষ্টিপাত চলবে।