বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতের ছেলে হুমায়ুন করিব (২৮) সহ সাতজন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত।
গত ৭ অক্টোবর জেলার সুবর্ণচরের চরজব্বার ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের বিলের মাঝে বিভিন্ন ক্ষেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবস্থায় নূরজাহান বেগমের (৫৮) পাঁচখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই গ্রামের প্রয়াত আব্দুল বারেকের স্ত্রী তিনি।
নূরজাহানের প্রথম পক্ষের ছেলে প্রয়াত বেলাল হোসেনের ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে মা ও ছেলে হুমায়ুনের বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, গত ৬ অক্টোবর রাতে নূরজাহানকে তার ঘরে ‘বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর’ চাপতি ও বটি দিয়ে মরদেহ পাঁচখণ্ড করে ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়।
ডিআইজি আনোয়ার বলেন, ঘটনার পরদিন হুমায়ুন করিব বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় হত্যা মামলা করলেও পুলিশের তদন্তে এ হত্যায় তার সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে আসে। যে কারণে গত বুধবার হুমায়ুনের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল।
এ মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির (২৮), হুমায়ুনের বন্ধু নিবর (২৬), পেশায় কসাই নুরুল ইসলাম (৩৮), মামাত ভাই আবুল কালাম (২৬) এবং মামাত বোনের জামাই সুমন (২৫)।
তাদের মধ্যে নিরব ও নূর ইসলাম ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি, বটি, কোদাল ও বালিশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকি দুই আসামিকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জাকির হোসেকে এ মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে ।