কক্সবাজারের সেই ৫২ স্থাপনা উচ্ছেদ

ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পুলিশের ফাঁকা গুলিবর্ষণের মধ্য দিয়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের সেই ৫২ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2020, 06:57 PM
Updated : 17 Oct 2020, 06:57 PM

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর রাশেদ জানান, শনিবার দুপুর থেকে দ্বিতীয় দফা চেষ্টায় এই উচ্ছেদ অভিযান সফল হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার এসব স্থাপনা উচ্ছেদে করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে ফিরে যায় প্রশাসন।  সে সময় তাদের  শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

সুগন্ধা পয়েন্টে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৫২টি স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল নোটিশ দেয় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এর বিরুদ্ধে ওই বছর ১৬ এপ্রিল স্থানীয় ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ৫২ জন ব্যবসায়ীর পক্ষে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। আদালত উচ্ছেদের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করে। পরে ভূমি মন্ত্রণালয় আদালতে আবেদন করলে গত ১ অক্টোবর স্থগিতাদেশ খারিজ করে অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদের আদেশ দেয়।

আবু জাফর বলেন, উচ্চআদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রথম দফায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নামে। এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালপত্র সরিয়ে নিতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সময় দিয়ে মাইকিং করা হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা আরও সময় চান। তাদের শনিবার দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়।

“শনিবার দুপুরে দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদে নামে প্রশাসন। এ সময় ব্যবসায়ীরা বাধা দেন। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা কাফনের কাপড় পড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করতে চাইলে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া চলে। ব্যবসায়ীরা তিন দিক থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।”

একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা পিছু হটলে স্থাপনাগুলোর উচ্ছেদ করা হয়। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ বড়ুয়া বলেন, উচ্ছেদে অভিযানে বাধা দেওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত আটজনকে পুলিশ আটক করেছে। এছাড়া সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।