শিশুকে নদীতে ‘ডুবিয়ে হত্যা’, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

‘পারিবারিক বিরোধের জেরে’ মাগুরা সদরে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে নদীতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বজনের বিরুদ্ধে।

মাগুরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2020, 01:06 PM
Updated : 11 Oct 2020, 01:06 PM

নিখোঁজের পাঁচ দিন পর রোববার সদর উপজেলার বারাশিয়া এলাকায় নবগঙ্গা নদী থেকে মাহিদ হোসেন (৭) নামের ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।

মাহিদকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ তার চাচা আসলাম মোল্যা ও আসলাম মোল্যার ছেলে রোহানকে (১৬) গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার পিতা-পুত্র মাহিদকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে মাগুরার পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজোয়ান জানিয়েছেন।

এসপি রেজোয়ান বলেন, এই দুজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের স্বীকারোক্তি মতে নবগঙ্গা নদীতে দুদিন তল্লাশি চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা রোববার দুপুরে মাহিদের লাশ উদ্ধার করেছে।

মৃত মাহিদের বাবা মুজিবর রহমান বলেন, তিন বছর আগে পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে চাচাত ভাই আসলাম মোল্যার সঙ্গে বিরোধ হয় মুজিবর রহমানের। এর প্রতিশোধ নিতে আসলাম মোল্যা ও তার ছেলে রোহান পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বুধবার সকালে মাহিদকে স্থানীয় নবগঙ্গা নদীতে নিয়ে যান। সেখানে একটি তালে ডোঙ্গার সঙ্গে বেঁধে মাহিদকে ডুবিয়ে দেন।

এসপি রেজোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার মাহিদ নিখোঁজ হয়; ওইদিন রাতে মাগুরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা মুজিবর রহমান। পরদিন মাহিদের নানা দুলাল হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রোহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

“রোহান হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন; যার সূত্র ধরে পুলিশ নবগঙ্গা নদীতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের মাধ্যমে তল্লাশি চালায়।”

রোহান ও তার বাবা আসলাম মোল্যার বরাত দিয়ে এসপি রেজোয়ান আরও জানান, মাহিদকে তারা একটি তালগাছের ডোঙ্গার সঙ্গে বেঁধে নবগঙ্গা নদীতে ফেলে দেন।

এই ঘটনা তদন্তে পুলিশ উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে বলেও জানান রেজোয়ান।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাহিদের বাবা সদর থানায় এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।