এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে আশুলিয়ার রোস্তমপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এরা হলেন সাইফুল ইসলাম (১৮), পাপ্পু সাহা (১৯), মিলন (২২), জ্যোতির্ময় সাহা (২০) ও অন্তর মিয়া (২০)।
এসআই এমদাদ বলেন, রতন সাহা (২৩) ও উজ্জ্বল মিয়া (২০) নামে আরও দুইজন পলাতক রয়েছেন; যারা এই ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় ওই নারী প্রথমে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় এবং পরে (বৃহস্পতিবার) আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বরাতে এসআই এমদাদ হোসেন বলেন, পূর্ব পরিচিতির সূত্র ধরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর থেকে এক গৃহবধূকে (২০) জন্মদিনের অনুষ্ঠানের জন্য আশুলিয়ার রুস্তমপুর ডেকে আনে সাইফুল ইসলাম। সেখান থেকে কৌশলে একটি নির্জন জঙ্গলে নিয়ে সাত বন্ধু মিলে দল বেঁধে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে।
“মেয়েটি প্রথমে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু ঘটনাস্থল আশুলিয়া হওয়ায় পুলিশের পরামর্শে তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করেন।”
এরপর সারা রাত অভিযান চালিয়ে পাচঁজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে এসআই এমদাদ জানান।
গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে এমদাদ জানান।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ। এরই মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তবে ভিডিও ফুটেজ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অভিযান চলছে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও সিলেটে এসসি কলেজে গৃহবধূকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণে’ তোলপাড়ের মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের ধর্ষণের ভিডিও ফাঁসের কথা প্রকাশ করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩০ অগাস্ট আশুলিয়ার ভাদাইলের পবনারটেক এলাকায় প্রতিবেশী দুই তরুণকে নিয়ে দুই কিশোরী বান্ধবী পাশের গুলিয়ারচক এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখানে কিশোর গ্যাংয়ের ১০ থেকে ১২ জন ওই দুই তরুণকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে।