এই অভিযোগ তিন সপ্তাহ আগের হলেও টাঙ্গাইলের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয় বুধবার।
পুলিশ মামলা নিতে গরিমসি করায় আদালতে মামলা করা হয় বলে মেয়েটির স্বজনরা জানান।
এই মামলার আসামি মতিউর রহমান (২০) নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের কাচঁপাই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা আদালতপাড়ায় সাংবাদিকদের বলেন, একই গ্রামে পাশাপাশি হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্র মতিউর তাদের বাড়ি যাতায়াত করত। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে মতিউর প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মেয়েটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলে ছাত্রীটির পরিবার অসম্মতি জানায়। এক পর্যায়ে এই ছাত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় পরিবার।
“এই অবস্থায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঘরে ঢুকে মতিউর মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হলে সে মেয়ের গলা ও ঘারে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে সবাই এগিয়ে গেলে মতিউর পালিয়ে যায়।”
তিনি জানান, পরে মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়; সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শফিকুল ইসলাম সজীব জানান, মেয়েটির গলা ও ঘারে বেশ কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
মেয়েটির স্বজনদের অভিযোগ, এই ঘটনায় ১৫ সেপ্টেম্বর মেয়েটির বাবা নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের বেশ কয়েকদিন অতিক্রম হলেও পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেনি। তাই আদালতে মামলা করা হয়েছে।
এই বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইমরান হোসেন বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর মেয়ের বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তদন্ত করে গত ৫ অক্টোবর রাত ১২টার পর ওই মামলা রেকর্ড করা হয়। তারপর থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নাগরপুর থানার ওসি আলম চাঁদ বলেন, মতিউর এবং ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে মেয়েটিকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চাইলে মতিউর মেয়েটিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবার দেরি করে থানায় আসে। এ কারণে মামলা নিতে দেরি হয়েছে।
হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি দিয়ে আঘাতের অভিযোগে মতিউর ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।