রাতে ভোটের সুযোগ নেই: পাবনায় সিইসি

পাবনা ৪ আসনের উপনির্বাচনে কেন্দ্রে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে জানিয়ে রাতে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকছে না বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2020, 11:49 AM
Updated : 23 Sept 2020, 11:49 AM

বুধবার সকালে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচনী আইন-শৃংখলার সভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি জানান, পাবনা ৪ আসনের উপনির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেবে কমিশন।

গত জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে নুরুল হুদা বলেন, “ব্যালট পেপার সকালে যাবে। কাজেই রাতে ভোট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা-৪ আসনে এ উপনির্বাচন হতে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ গত ২ এপ্রিল মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়ে পড়ে।

এবারের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ঈশ্বরদী উপজেলার তিনবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব এবং জাতীয় পাটির রেজাউল করিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনী আইন-শৃংখলার সভার আগে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রার্থীদের নির্বাচন আচরণবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

সিইসি আরো বলেন, পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কারও বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে এখন পর্যন্ত আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারোর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

এ সময় বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর বিএনপিসহ বিরোধী অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা নেই। আগের নির্বাচনে অনেক জায়গায় রাতেই ভোট কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উল্লেখ করে স্থানীয় সাংবাদিকরা পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনেও এমনটি হবে কিনা জানতে চান।

এর জবাবে নুরুল হুদা বলেন, ব্যালট পেপার সকালে যাবে। কাজেই রাতে ভোট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্ব এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এরপরও জীবন থেমে নেই। অনেক দেশ এর মধ্যেই নির্বাচন করছে, আবার অনেকেই করছে না। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় করোনাকালে নির্বাচন করছে আমাদের কমিশন।

পরে সিইসি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় যোগ দেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আলমগীর কবীর, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবদুল মান্নান, পাবনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ, পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহেদ পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজ, র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের অধিনায়ক আমিনুল কবির তরফদার এবং এনএসআই, ডিজিএফআইসহ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।