রোববার দুপুরে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি।
এরআগে গত শনিবার বিকালে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মোবারক হোসেন (৪০) নারায়ণগঞ্জের স্থাণীয় এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর এশার নামাজের পরপরই নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালের আইসিইউতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত শনিবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ফতুল্লা আঞ্চলিক অফিসের সাময়িক বরখাস্ত চার কর্মকর্তাসহ আটজনকে গ্রেপ্তারের পর দুই দিনের রিমান্ডে নেয় সিআইডি।
সিআইডির নারায়ণগঞ্জ অফিসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, বাইতুস সালাত জামে মসজিদে দু’টি বৈদ্যুতিক সংযোগ রয়েছে। তার একটি সংযোগ অবৈধ। সেই সংযোগসহ মসজিদের যাবতীয় বৈদ্যুতিক ওয়ারিং এর কাজ করেছিলেন মোবারক হোসেন।
মসজিদের মধ্যবর্তী উন্মুক্ত স্থানে একটি বড় ডিপি বক্স রয়েছে। যেখানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও নিয়ম বর্হিভূতভাবে সার্কিট ব্রেকার, চারটি কাট আউট, একটি লাইন চেঞ্জ বক্স লাগানো হয়েছে।
অবৈধ সংযোগ নেওয়া থেকে শুরু করে সার্কিট ব্রেকার, কাট আউটে তার লাগানোসহ মসজিদের যাবতীয় ওয়ারিং করেছেন এ আসামি বলেন তিনি।
“তিনি অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগ জানার পরও শত শত মুসল্লিদের নিরাপত্তার কথা না ভেবে মসজিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উপসানালয়ে টাকার বিনিময়ে ঝুঁকিপূর্ণ ডিপি বক্স, সাকির্ট ব্রেকার, কাট আউট, লাইন চেঞ্জ বক্সের সংযোগ দেন।”
যদি মসজিদের ভেতরে কাটআউট স্থাপন করা না হতো তাহলে বিদ্যুতের লাইন পরিবর্তনের সময় স্পার্ক হতো না এবং এভাবে ৩৩ জনের মৃত্যুও হতো না বলছেন পুলিশ কর্মকর্তা।
সিআইডির তদন্তে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন বলেন, এ ঘটনায় আরও তথ্য উপাত্ত, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের সাথে কে কে জড়িত তা জানার জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
এ বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।