নিহত বাড়িওয়ালা তাজুল ইসলামের ছেলে শাহীন আলম বাদী হয়ে সোমবার সকালে শিবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ভাড়াটিয়া বাদল মিয়াকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান শিবপুর থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান।
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তার বাদল মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে পাঠানো যায়নি। চিকিৎসা শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”
কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া শিবপুরের কুমড়াদি গ্রামে তাজুল মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। স্ত্রী নাজমা বেগমের সঙ্গে তার মনোমালিন্য চলে আসছিল। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছে।
রোববার ভোরে বাদলের ঘরে হৈ চৈ শুনে বাড়িওয়ালা তাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, মেয়ে কুলসুম সেখানে গিয়েছিলেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, বাদল মিয়া তার স্ত্রী নাজমাকে কুপিয়েছিলেন। তাকে থামাতে গেলে বাড়িওয়ালাসহ অন্যদেরও এলোপাতারি কোপাতে থাকেন বাদল।
গুরুতর আহত নাজমা ও মনোয়ারা বেগমকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাদের মৃত্যু হয়। তাজুলকে ঢাকায় পাঠানো হলে পথে তারও মৃত্যু ঘটে।
তাজুলের মেয়ে কুলসুম এবং বাদলের ছেলে সোহাগও আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই বাদল মিয়াকে আটক করে। পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে চিকিৎসার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।