ময়মনসিংহে ফিরছে বিদ্যুৎ, স্বাভাবিক হবে শুক্রবার নাগাদ

ময়মনসিংহে কেওয়াটখালি পাওয়ার গ্রিডে ফের অগ্নিকাণ্ডে বিভাগের সব জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার পর কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরেছে।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2020, 02:34 PM
Updated : 10 Sept 2020, 02:44 PM

বৃহস্পতিবার সকালে গ্রিডের দুই নম্বর ট্রান্সফরমারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ-এ চার জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।

কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরলেও সরবরাহ পুরোদমে চালু করতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পিজিসিবির স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান। 

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ গ্রিডে অগ্নিকাণ্ডে পুরো ময়মনসিংহ বিভাগ বেশ কয়েক ঘণ্টার বিদ্যুৎ বিহীন ছিল।

নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফের ময়মনসিংহের কেওয়াটখালী পাওয়ার গ্রিডের সার্কিট ব্রেকারে আগুন লাগে। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলা। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহককে।

দুর্ঘটনার আধ-ঘণ্টা পর থেকে জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণা জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভবিক হলেও ময়মনসিংহ জেলায় আট ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

পুড়ে যাওয়া সার্কিট ব্রেকার বদলে নতুন সার্কিট ব্রেকার স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি সম্পন্ন হতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সময় লাগবে। এরপর থেকেই জেলার সব জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে।“ 

পিজিসিবি ময়মনসিংহ শাখার সহকারী প্রকৌশলী একে এম তাজুল ইসলাম খান বলেন, ৮ সেপ্টেম্বর কেওয়াটখালী পাওয়ার গ্রিডের একটি ট্রান্সফর্মার আগুনে পুড়ে গিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের গ্রাহকরা বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন।  কেওয়াটখালি পাওয়ার গ্রিডের তিনটি ট্রান্সফরমারের মধ্যে গত মঙ্গলবার দ্বিতীয়টি পুড়ে যায়।

“বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম ট্রান্সফরমারের সার্কিট ব্রেকার ও সিটিতে আগুন লেগে পুড়ে যায়। ফলে কিছুক্ষণের জন্য পুরো বিভাগ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার কারন অনুসন্ধানে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম।  

ট্রান্সফরমারের সার্কিট ব্রেকার ও সিটিতে আগুন লেগে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় পিজিসিবির ঢাকার অপারেশন এন্ড মেন্টেনেইসের নির্বাহী পরিচালক মাসুম আল বকশীকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ঘটন করা হয় হয়েছে। কমিটিকে কারণ অনুসন্ধান করে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

গত মঙ্গলবার কেওয়াটখালি পাওয়ার গ্রিডের পাওয়ার ট্রান্সফরমার, ৩৩ কেভি সার্কিট ব্রেকার, কারেন্ট ট্রান্সফরমার-সিটি, আইসোলেটর, কন্ট্রোল সার্কিট সিস্টেমসহ প্যানেল বোর্ড পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি আগামী রোববার প্রতিবেদন দেবে বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহাঙ্গীর আলম।