এছাড়া নড়িয়া-জাজিরা আঞ্চলিক সড়কের ঈশ্বরকাঠি এলাকায় পানি উঠে ঢাকার ও জাজিরা সঙ্গে নড়িয়ার যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান হাবিব জানান, শনিবার পদ্মার পানি সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হয়েছে।
শনিবার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বন্যার চিত্র তুলে এনেছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধি।
মোক্তারেরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌকিদার জানান, শুক্রবার বিকাল থেকে নড়িয়া-জাজিরা আঞ্চলিক সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার ঈশ্বরকাঠি এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে ঢাকার ও জাজিরার সঙ্গে নড়িয়ার যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে।
এলাকার লোকজন জানান, বন্যা কবলিত জাজিরা ইউনিয়নের পাতালিয়া কান্দি, দুব্বাডাঙ্গা, ভানু মুন্সি কান্দি, হাওলাদার কান্দি, লখাই কাজি কান্দি, জব্বার আলী আকন কান্দি, জব্বার মোল্যা কান্দি ও গফুর মোল্যা কান্দিতে বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব দেখা গেছে। হাস মুরগি, পশু, নিয়ে বিপাকে পড়েছে এলাকার মানুষ। ওইসব এলাকায় পাট, রোপা আমন, বোনা আমন, শাক সবজি ও আখ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বহু জমির ফসল জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জয়নাল মাদবর বলেন, “বন্যার পানিতে আমাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। বিশুদ্ধ পানীয় জলেরও সংকট দেখা দিয়েছে।”
জাজিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, “বন্যার পানিতে জাজিরার সাতটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি নিয়ে কষ্টে আছে মানুষ। বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে শুরু করেছি।”
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তি রুপা রায় বলেন, বন্যার পানিতে নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর, মোক্তারচর ও পৌর এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।
দুই উপজেলা নড়িয়া ও জাজিরার অন্তত ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বন্যা কবলিতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা আছে। এখনও কোনো লোক আশ্রয় কেন্দ্রে আসেনি। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রণয়ন করা শুরু হয়েছে। তালিকা করা হলে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।”