মঙ্গলবার বিকালে খাগড়াছড়ি শহরের মহাজনপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘোরে তারা। পরে মুক্তমঞ্চের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ হামলার জন্য সন্তু লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-কে দায়ী করে নিন্দা জানানো হয় সমাবেশে।
বক্তারা বলেন, “সন্তু লারমা পাহাড়ে একের পর এক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল আছেন।”
অবিলম্বে হামলার ঘটনার বিচার দাবি করে করেন তারা।
সেখানে জনসংহতি সমিতির জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জনসংহতি সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক সিন্ধু কুমার চাকমা, ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর সহযোগী সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি দীপন চাকমা, জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) গ্রুপের জেলা কমিটির যুব বিষয়ক সম্পাদক প্রত্যয় চাকমা, জকি চাকমা, জিনিত চাকমা ও অন্যরা।
বান্দরবানের ঘটনায় নিহত ছয়জনের মধ্যে জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিমল কান্তি চাকমাসহ পাঁচজনই খাগড়াছড়ির বাসিন্দা।
পাহাড়ি সংগঠনগুলোর এ বিভক্তির পথ ধরে ২০১৮ সালে পার্বত্য জেলাগুলোতে নতুন করে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়।ওই বছর ৩ মে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থি অংশের সহ-সভাপতি শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন তার শেষকৃত্যে যাওয়ার পথে হামলায় নিহত হন ইউপিডিএফের সংস্কারপন্থি অংশের নেতা তপনজ্যোতি চাকমা বর্মাসহ পাঁচজন।