বৃহস্পতিবার ভোরে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে তেঁতুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাইদ চৌধুরী জানান।
নিহত জহুর আলী (৬৫) পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জহুর আলীর প্রথম স্ত্রীর ছেলে নুরুজ্জামান (৩০) বলেন, তিন বছর ধরে তার সৎ মার (৪৫) সঙ্গে আটোয়ারীর সাতখামার এলাকার ইদ্রিস আলীর (৫০) পরকিয়া সম্পর্ক চলছিল। এলাকায় এ নিয়ে একাধিকবার সালিশও হয়।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পড়া বাবা ও সৎ মাকে বুধবার ইদ্রিস বাংলাবান্ধায় পাথর ভাঙার কাজ দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান। রাতে সেখানে একটি ভাড়া করা ঘরে রাত যাপন করছিলেন তারা।
“গভীর রাতে তার বাবা সৎ মা ও ইদ্রিসকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেললে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাবার গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।”
নুরুজ্জামান বলেন, “বাবার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে তাকে গলা কাটা অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা তাকে প্রথমে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।”
নুরুজ্জামান আরও বলেন, “বাবা আহত থাকা অবস্থায় স্থানীয় এক ব্যক্তি ভিডিও ধারণ করেন। তাতে দেখা যায় বাবা তখনও কথা বলছিলেন। ইদ্রিস ও সৎ মা তার গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে গেছে বলে তিনি বলেছেন।”
পরিদর্শক আবু সাইদ চৌধুরী বলেন, “প্রতিবেশীদের করা ভিডিও রেকর্ডটি আমরা দেখেছি। তাতে নিহত ব্যক্তির বক্তব্যে এটা প্রায় প্রমাণিত যে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও ইদ্রিস তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করেছিলেন।”
ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে; হামলাকারীরা শিগগির গ্রেপ্তার হবেন বলে তিনি আশা করছেন।