দিনাজপুরের সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা করোনাভাইরাস সংক্রমণে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে জেলার সাত উপজেলার দশটি এলাকাকে চিহ্নিত করে ‘রেড জোন’ ঘোষণার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
“প্রস্তাবের অনুমোদন পেলে রেড জোনের কিছু কিছু এলাকাকে লকডাউনের আওতায় আনা হবে এবং লকডাউনের সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে বলবৎ করা হবে।”
আব্দুল কুদ্দুস জানান, জেলায় এ পর্যন্ত চিকিৎসক ও পুলিশসহ সাতজন মারা গেছেন। চিকিৎসকসহ ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। এর মধ্যে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন সহকারী পরিচালক এবং জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ তার পরিবারের চারজন রয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, দিনাজপুরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ১৪ এপ্রিল সাতজন। মে মাস পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দুইশতে সীমাবন্ধ থাকলেও জুনের প্রথম সপ্তাহে তা তিনশ ছাড়িয়ে যায়। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে আক্রান্ত এসে দাঁড়িয়েছে ৪৬৯ জনে।
সিভিল সার্জন জানান, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত সদরে ১৫১ জন। অন্য উপজেলার মধ্যে চিরিরবন্দরে ৪৩ জন, বিরলে ৪১ জন, বিরামপুরে ৩৯ জন, পার্বতীপুরে ৩৬ জন, ঘোড়াঘাটে ৩২ জন, খানসামায় ২৮ জন, নবাবগঞ্জে ২৭ জন, বীরগঞ্জে ২১ জন, কাহারোলে ১৪ জন, বোচাগঞ্জে ১৬ জন, ফুলবাড়ীতে ১৬ জন এবং হাকিমপুর পাঁচজন।
জেলায় করোনা সংক্রামন আশংকাজনক হারে বাড়ছে। এপর্যন্ত জেলায় করোনা সনাক্ত হয়েছে ৪৬৯ জনের। মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসক ও পুলিশসহ ৭ জনের।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সদর উপজেলাসহ জেলার সাতটি উপজেলার ১০টি এলাকাকে চিহ্নিত করে রেডজোন ঘোষনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।