নমুনা ‘না দিয়েও’ করোনাভাইরাস পজিটিভ

নমুনা না দিয়েও করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার কথা জানিয়েছেন মাদারীপুর পৌর শহরের এক যুবক।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2020, 03:10 PM
Updated : 18 June 2020, 03:10 PM

সিদ্দিক হাওলাদার (৩০) নামের এই যুবক পৌর শহরের পাকদী এলাকার ইচাহাক হাওলাদারের ছেলে; তিনি একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করেন।

সিদ্দিক হাওলাদার জানান, গত মঙ্গলবার [১৬ জুন] তার মোবাইল ফোনে একটি ক্ষুদ্র বার্তা [এসএমএস] আসে যেখানে তার করোনাভাইরাস পজিটিভ বলে জানানো হয়। এসএমএসে নাম লেখা ছিল সিদ্দিকুর রহমান, বয়স ৫০ বছর।

এদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বিপাকে পড়ে সিদ্দিক হাওলাদারের পরিবার। সবাই তাদের ঘরের বাইরে বের না হতে চাপ সৃষ্টি করে। স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনও খুঁজতে থাকে সিদ্দিককে।

কিন্তু সিদ্দিক হাওলাদারের দাবি, তিনি কখনোই নমুনা জমা দেননি। তার করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গও নেই।

সিদ্দিকের পরিবারের দাবি, কেউ করোনাভাইরাসের নমুনা দেওয়ার সময় তার মোবাইল নম্বর দিয়ে এসেছে।

সিদ্দিক হাওলাদার জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের সন্দেহ দূর করতে বুধবার সকালে তিনি করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য মাদারীপুরে সদর হাসপাতালে গিয়ে নমুনা দিয়ে এসেছেন এবং একটি সেলফি তুলে তা ফেইসবুকে শেয়ার করেন। এরপর তিনি একটি ভিডিও বার্তাও প্রকাশ করেন।

নমুনা দেওয়ার পর থেকে চিসিৎসকের পরামর্শে তিনি হোম কোয়ারেন্টিনেেআছেন বলে জানান।

সিদ্দিকের বাবা ইচাহাক হাওলাদার বলেন, “আমার ছেলে সুস্থ। অকারণে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন। আমি দাবি করছি, করোনা পরীক্ষার সময় আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন যেন নেওয়া হয়। তাহলে অন্যের ফোন নম্বর দিয়ে কেউ অন্যকে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারবেন না।”

মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইকরাম হোসেন বলেন, “ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। আমি ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে নমুনা দিতে বলায় সে আজ নমুনাও দিয়ে যায়।”

এখানে তাদের কোনো ভুল নেই দাবি করে তিনি বলেন, যে বিষয়টি ঘটেছে তা হলো ওই এলাকায় সিদ্দিক নামের একজন তথ্য গোপন রেখে ভুল নম্বর দিয়ে চলে গেছে। তার দেওয়া নম্বরটি একই এলাকার আরেক সিদ্দিকের।

“তবে এখনও প্রকৃত করোনা পজিটিভ রোগীকে খুঁজে পাইনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। কারণ সিদ্দিক নামের ওই এলাকায় একজন পজিটিভ রোগী আছে। তাকে আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি।”

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা অখিল সরকার বলেন, “আমরা এখন থেকে এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকব। যারা নমুনা দেবেন তাদের সবাইকে আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন আনতে বলা হয়েছে।”

তিনি করোনাভাইরাস নিয়ে কোনো ধরনের প্রত্যারণা না করতে সবাইকে আহ্বান জানান।