মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার উত্তর সরালিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
মোহাম্মদ আলী খান (২৩) নামের এই যুবক মোরেলগঞ্জের মনোয়ারা বেগম ইসলামিক মহিলা দাখিল মাদ্রাসা এবং এস এ ক্যাডেট একাডেমির নৈশ প্রহরী। তিনি উত্তর সরালিয়া গ্রামের খান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির ছেলে।
বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, মোহাম্মদ আলী খান গত ১১ জুন তার ফেইসবুক আইডি ও ইউটিউবে একটি ভিডিও আপলোড করেন। ভিডিওটি হাতে আসার পর পুলিশ তার খোঁজে মাঠে নামে।
“ওই ভিডিও বার্তায় তিনি দেশের বিভিন্ন বাহিনীতে কর্মরত সদস্যদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জিহাদের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি তার এই উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন।”
তিনি ‘ইসলামিক আর্মি ফোর্সের’ (আইএএফ) একজন সদস্য বলে ওই ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, বলেন এসপি পঙ্কজ।
এসপি আরও বলেন, তার এই ‘জিহাদের’ জন্য মানুষের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন। সেজন্য তার ব্যক্তিগত বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্ট নম্বরও প্রকাশ করেছেন।
“সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছাড়া ভিডিও বার্তাটি পুলিশের কাছে উগ্র ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের অংশ বলে মনে হচ্ছে। আমরা তার কর্মকাণ্ডে কারা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছি।”
বুধবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসপি পঙ্কজ।