সোমবার বিকালে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলী আদালতে শুনানি শেষে তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক অরুপ বসাক।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রোববার রাতে সাজ্জাদসহসহ নয় জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাদের মধ্যে থেকে সাজ্জাদ হোসেনের ভাই জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, স্থানীয় সাংবাদিক রেজাউল করিম বিপুল ও ফরিদপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে এ অনুমিত দেয় আদালত।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের হওয়া ছাড়াও অস্ত্র ও মাদক আইনে আরো তিনটি মামলা করা হয়েছে।
জামাল পাশা জানান, সোমবার তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলী আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়। আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত সরাসরি পুলিশের হেফাজতে পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার দুপুরে জেলার পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৬ মে ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবলচন্দ্র সাহার বাড়িতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের বদরপুর মোড় থেকে প্রথমে বরকত, রুবেল ও রেজাউল করিম বিপুল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন বরকতের সহযোগী ইয়াসমিন সুলতানা বন্যা মণ্ডল, এনামুল ইসলাম জনি, অমিয় সরকার, ফরিদপুর পৌরসভার বর্ধিত ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চক্রবর্তী, সাবেক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান মামুন ও জাহিদ খান নামে এক ব্যক্তি।
পুলিশ সুপার বলেন, “তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে পাঁচটি পিস্তল, ৯১ রাউন্ড গুলি, দুটি শর্টগান, ১৮০টি কার্তুজ, তিন হাজার ডলার, ৯৮ হাজার রুপি ও ২৯ হাজার টাকা।
“এছাড়া বরকতের রেস্ট হাউসে ছয় বোতল বিদেশি মদ, খাদ্য অধিদপ্তরের ১২০০ বস্তায় ৬০ হাজার কেজি চাল এবং রুবেলের ড্রয়ারে ৬৫টি ইয়াবা পাওয়া গেছে।”