গত সোমবার এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল উদ্দিন।
শিবগঞ্জ-সোনাতলা সার্কেলের এএসপি কুদরত ই খুদা শুভ জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার ওই ‘প্রতারক চক্রের’ সাত সদস্যকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
“কিছুদূর যাওয়ার পর পুরুষ যাত্রীটি বৃষ্টির অজুহাতে পর্দা লাগিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তাকে কৌশলে রাস্তার পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে জোর করে কাপড় খুলতে বাধ্য করে এবং ওই নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তোলার হুমকি দিয়ে নগদ এবং বিকাশের মাধ্যেমে ৪৭ হাজার টাকা আনিয়ে নেয় এবং একটি চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।”
কামালের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে বলে তারা।
“এই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ও মঙ্গলবার বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে এই প্রতারক চক্রের তিন নারীসহ সাতজনকে আটক করা হয়।”
ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে কুদরত ই খুদা জানান।
“জিজ্ঞাসাবাদে এরা বলেন, আগেও তারা আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছেন।”
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল উদ্দিন বলেন, তিনি এই ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। টাকা ও চেক উদ্ধার হয়েছে।