এমনকি গ্রামবাসী চালিবাঁশ দিয়েও সহায়তা করেনি বলে পুলিশের অভিযোগ। পরে পুলিশ সদস্যরা গ্রামের পাশে যমুনার তীরে দাফন করেন।
এই নারীর কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে।
জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর এ মোর্শেদ বলেন, উপজেলার তাজপুর গ্রামের ২৬ বছরের এই নারী ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। জ্বর-সর্দি নিয়ে ঢাকা থেকে এসে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে রোববার তাকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই রাতেই সেখানে তিনি মারা যান।
এরপর মরদেহ বাড়ি নেওয়ার সময় গ্রামবাসী বাধা দেন। পরে বদলগাছী থানার এসআই আরিফুল ইসলামসহ ছয় পুলিশ সদস্য সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গ্রামের পাশে ছোট যমুনা নদীর ধারে লাশ দাফন করেন। জানাজা পড়ান উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ঈমাম আইয়ুব আলী।
এই নারীর কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে বলে ডেপুটি সিভিল সার্জন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে বাঁচানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। কোভিড-১৯ পরীক্ষায় তার নেগেটিভ এসেছে। মৃত্যুর পর এই প্রতিবেদন এসেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।