সোমবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে স্বজনরা জানান।
বিলাইছড়ি উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের কর্মচারী ক্যথুই প্রু মারমা বলেন, “বোরবার সকাল ১০টার দিকে তিনি হঠাৎ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। পরে উনার অবস্থার অবনতি হলে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাঙামাটি নিতে রাত ৮টা বেজে যায়। এরপরের বিষয়ে আমি কিছু জানতে পারিনি।”
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানিয়েছেন, আনোয়ারুল ইসলাম কয়েকমাস আগে বিলাইছড়িতে যোগদান করেছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে তিনি বিলাইছড়ির বাইরে কোথাও যাননি। দিনে অফিস শেষে ডরমিটরিতেই থাকতেন।
“গত ১৫ দিন ধরে তিনি কাশিতে ভুগছিলেন। এজন্য ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ নিয়েছেন; তবুও কাশি ভালো হয়নি। মারা যাওয়ার দুইদিন আগে থেকে জ্বরে ভোগেন।”
ইউএনও বলেন, রোববার সকালে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে রাঙামাটিতে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
“রোববার সারারাত চেষ্টা করেও কোনো আইসিইউ না মেলাই ভোরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় নেওয়া হয়। সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।”
আনোয়ারুল ইসলামের ছোট ভাই এলজিইডির পরামর্শক মো. আলাউদ্দিন বলেন, “সোমবার সকাল ১০টার দিকে আমার ভাই মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।”
তিনি মার্চের ২৩/২৪ তারিখের দিকে বিলাইছড়িতে যোগদান করেছিলেন বলে আলাউদ্দিন।
আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী ও তিন মেয়ে রয়েছে। দুই মেয়ে অষ্টম শ্রেণি এবং এক মেয়ে স্নতকের (সম্মান) ছাত্রী। আনোয়ারুলের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর আলবনগর গ্রামে। পরিবারে তিনভাই ও ছয়জনের বোনের মধ্যে আনোয়ারুল ইসলাম সবার বড় ছিলেন।