মোহনপুর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনসুর রহমানকে সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় তার হাতে করোনাভাইরাস মুক্ত হওয়ার সনদ ও এক ঝুড়ি ফল তুলে দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরিফুল কবীর।
আরিফুল কবীর বলেন, মুনসুর রহমানের মোট ছয় বার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইবার পজিটিভ এবং চার বার নেগেটিভ আসে। সর্বশেষ ১৪ মে মে তার পজিটিভিএসেছিল। আর সর্বশেষ ২৯ মে তার নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ নেগেটিভ পাওয়া যায়।
“মনসুর এখন পুরোপুরি সুস্থ। দেশে এত বেশি বয়সের করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সুস্থ হওয়া এটায় প্রথম।”
মনসুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তাকে একা থাকতে হয়েছে। কিন্তু পরিবার ও চিকিৎসকদের সব সময় কাছে পেয়েছেন তিনি।
“ডাক্তারদের গাইডলাইন মানার কারণে দিন দিন শারীরিক উন্নতি হওয়ার কারণে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। মনের গভীরে জমে থাকা কালো মেঘটি আস্তে আস্তে কেটে গেছে।”
উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের নওনগর গ্রামের শিক্ষক মুনসুর রহমান জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। করোনাভাইরাস পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে ভর্তি করেও করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষা না করে এক্স-রে ও ইসিজি করেন চিকিৎসকরা। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ২১ এপ্রিল দুপুরে তাকে ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
তিনি জানান, ২৫ এপ্রিল শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরদিন ২৬ এপ্রিল করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়।