কোভিড-১৯: নীলফামারীতে নমুনা দিয়ে রোগী নারায়ণগঞ্জে

করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে ফলাফলের অপেক্ষা না করেই ভাড়া করা মাইক্রোবাসে করে নীলফামারী থেকে নারায়ণগঞ্জে গেছেন এক যুবক।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2020, 03:45 AM
Updated : 31 May 2020, 04:44 AM

সেই মাইক্রোবাসে তার স্ত্রীসহ মোট ১৩ জন যাত্রী ছিলেন। শনিবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এলে জানা যায়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।

জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসান মো. রেজওয়ানুল কবির জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তারা ওই যুবকের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পান। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে তাকে আর পাওয়া যায়নি।

২৬ বছর বয়সী ওই যুবকের বাড়ি জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের তহশীলদার পাড়ায়। তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেন।

শনিবার রাতে ওই যুবকের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জ থেকে গত ১০ মে তিনি ঈদ করতে জলঢাকায় এসেছিলেন বাড়িতে। কয়েক দিন পর অসুস্থ বোধ করলে গত ২৩ মে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে।

এর তিন দিন পর গত ২৬ মে ওই যুবক তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে একটি ভাড়া করা মাইক্রোবাসে করে কর্মস্থলে চলে যান।

ওই যুবক বলেন, ফলাফল আসতে দেরি হওয়ায় তিনি স্বাস্থ্য বিভাগকে না জানিয়েই জলঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে চলে যান। ভাড়া করা ওই মাইক্রোবাসে তারা স্বামী-স্ত্রীসহ মোট ১৩ জন যাত্রী ছিলেন।

“এখন সুস্থ আছি” বলে ফোন কেটে দেন ওই যুবক।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানুল কবির বলেন, গত ২৩ মে ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এর রেফারেল সেন্টারে পাঠানো হয়।

“শনিবার বিকালে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তখন স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানান, ওই যুবক নারায়ণগঞ্জে চলে গেছেন।”

পরে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন দুটি বাড়ি লক ডাউন করে সেখানে গ্রাম পুলিশ বসিয়ে ফিরে আসে। রোববার ওই যুবকের বাবা-মায়ের নমুনা সংগ্রহ করার কথা রয়েছে। 

নীলফামারী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার নতুন ১৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৭ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন মোট ৩৮ জন, মৃত্যু হয়েছে দুই জনের।