কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ছিল ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল। ফেরিতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি উপক্ষো করে গাদাগাদি করে মানুষ ফেরিতে করে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএস মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “সকাল থেকে কাঁঠালবাড়ি থেকে হাজার হাজার মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে শিমুলিয়ায় আসছেন। তবে চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তারা। বুধবার পদ্মায় যে ২ নম্বর সংকেত ছিল, সেটা বৃহস্পতিবার সকালে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। পদ্মার বুধবারের মত স্রোত না থাকলেও কিছুটা উত্তাল; সঙ্গে বাতাস আছে। তাই সবগুলো ফেরি চলতে পারছে না।
এদিকে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে- যাত্রীরা ঘাটে নেমে গণপরিবহন না পেয়ে পড়ছেন বিপাকে। তাদের অনেককেই ছোট গাড়ি, অটোরিকশা, সিএনজি, মোটর সাইকেল এমনকি পিককাপে বা ট্রাকে করেও গন্তব্যে রওনা দিতে দেখা গেছে। এতে যাত্রীদের কয়েক গুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। কেউ কেউ আবার ঘাটে কোন যানবাহন না পেয়ে হেঁটেই রওরা হয়েছেন গন্তব্য।
এদিকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম বলেন, বৃহস্পতিবার এ রুট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ঢাকায় কর্মমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে। ফেরিগুলোতে যাত্রীদের পাশাপাশি জরুরি অ্যামবুলেন্স, ব্যাক্তিগত গাড়ি, কাঁচামালও পণ্যবাহী ট্রাক পার করা হচ্ছে।
এখন ১০ টি ফেরি দিয়ে পারাপার করানো হচ্ছে; ডাম্ব ফেরি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ঘাট এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী কাজ করছে বলে জানান তিনি।