অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে উপেজলার সবকিছু বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে বুধবার দুপুরেই। পরে সরকারি দপ্তরগুলোয় বিদুৎ সরবরাহ শুরু হলেও বাড়িঘর ও বেসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠান এখনও বিদ্যুৎহীন।
কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তাও বলতে পারছেন না পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা। এই পরিস্থিতিতে ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রের ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার ব্যবসা শুরু হয়েছে।
উপজেলার জামতলা বাজারের শিমুল হোসেন বিভিন্ন ব্যাটারির চার্জ দিচ্ছেন বাণিজ্যিকভাবে।
শিমুল বলেন, তিনি প্রতিটি মোবাইল ফোনের ব্যাটারি চার্জ দিতে নিচ্ছেন ২০টাকা, অটোরিকশার ব্যাটারির জন্য প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭৫টাকা।
টেংরা গ্রামের শামিম আহমেদ ২০ টাকা দিয়ে তার মোবাইল ফোনের ব্যাটারির চার্জ নিয়েছেন বলে জানান।
ওই গ্রামের আজিজুর রহমান বলেন, “প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে আয় করি ৪০০টাকা। কারেন্ট নেই বলে জেনারেটরে চার্জ দিতে হয়। ঘণ্টায় চার্জ খরচ দিতে হচ্ছে ৫০টাকা। করোনাভাইরাস আর আম্পান আমাদের ক্ষয় করে দিয়ে গেল।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ নেই। তাই জেনারেটরের মাধ্যমে মোবাইল ফোন, ব্যাটারি, চার্জার লাইটে চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এতে দিন শেষে হাজার খানেক টাকা লাভ থাকে।”
জামতলা, উলাশী, বারোপোতা,পুটখালি, ডিহি, শাড়াতলা, নিজামপুর ও কাশিপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে লম্বা লাইন পড়ছে।
এদিকে কবে নাগাদ শার্শার বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তাও বলতে পারছেন না পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি শার্শার ডিজিএম হাওলাদার রুহুল আমিন বলেন, “বিদ্যুতের দুই শতাধিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। তার ছিঁড়েছে কয়েক হাজার জায়গায়।”
এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তা তিনি বলতে পারেননি।