অবশেষে হাজারো যাত্রীকে ফিরতেই হল ঢাকায়

শিমুলিয়া ঘাটে দিনভর ভিড় করা দক্ষিণের জেলামুখী হাজারো যাত্রীদের ঢাকায় ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 May 2020, 07:38 PM
Updated : 19 May 2020, 08:13 PM

মঙ্গলবার সকাল থেকে এ ঘাটে সহস্রাধিক মানুষ পদ্মাপারের জন্য ভিড় করতে থাকে।

রাত ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মোমেন বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে বাসে করে ঘাটে আগত হাজার হাজার মানুষকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।

“যাতে ঘাটে আসা লোকগুলো নিরাপদে ফিরে যেতে পারে। এ পর্যন্ত ৫০ সিটের ৩০টি বাস শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে গিয়েছে। আরও ৫/৭টি বাসে লোক ওঠানো হচ্ছে।

“ঘাটে থাকা সব মানুষকে আমরা নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। যতক্ষণ ঘাট এলাকায় মানুষ থাকবে ততক্ষণ আমরা বাসে করে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেব।”

মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগ থেকে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় বাসে করে ঢাকায় ফিরতে শুরু করে ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষরা।

করোনাভাইরাসের সংক্রামণ এড়াতে সোমবার বিকাল ৩টায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের সব ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার পরও মঙ্গলবার ভোর থেকে শিমুলিয়া ঘাটে পরিবার-পরিজন নিয়ে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়।

সকাল থেকে গ্রামমুখো মানুষরা হেঁটে ও নানা যানবাহনে ভেঙে ভেঙে শিমুলিয়া ঘাটে জড়ো হচ্ছিল। দিনভর শিমুলিয়া ঘাটে অপেক্ষা করে তারা।

দুপুরে মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য সিরাজুল কবির বলেছিলেন, “সকাল থেকে আমরা ঈদে ঘরমুখো মানুষদের বোঝানোর চেষ্টা করছি কোনমতেই ফেরি ছাড়া হবে না। কিন্তু জনতা কোনো কথাই শুনছে না।”
তবে বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার একেএম শাহজাহান জানান, সোমবার থেকে ফেরি বন্ধ থাকায় বিকল্প পথে, ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকা করে পদ্মা পাড়ি দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী দক্ষিণাঞ্চলে যাচ্ছেন।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য সিরাজুল কবির বলেছিলেন, “সকাল থেকে আমরা ঈদে ঘরমুখো মানুষদের বোঝানোর চেষ্টা করছি কোনমতেই ফেরি ছাড়া হবে না। কিন্তু জনতা কোনো কথাই শুনছে না।”

ফেরিসহ যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ থাকায় কেউ কেউ ব্কিল্প নোযানে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে।

সিরাজুল কবির বলেন, “এ সময় আমরা চালকসহ ৩০টা মাছ ধরার ট্রলার ও ২টা সিবোট আটক করেছি।”

বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আর গাড়ি প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। ঘাটে থাকা গাড়িগুলোকে ঢাকায় ফেরত যেতে বাধ্য করাও হয়। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য পণ্যবাহী দুশর বেশি ট্রাক অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।

তবে সোমবার রাতে ঘাটে ভেড়ানো দু’টি ফেরিতে উঠে বসা লোকজনকে ভোররাতে পার করে দেয় হয়।