উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদের নির্দেশে সোমবার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের খাগবাড়িয়া গ্রামের এসব পরিবারকে অবরুদ্ধ করা হয়।
রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক খোন্দকার আমিরুল ইসলাম বলেন, খাগড়াবাড়িয়া গ্রামের এক ব্যক্তি গত শনিবার (১৬ মে) কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষা করতে দেন। পরদিন তিনি প্রশাসনকে না জানিয়ে মৃত ভাইয়ের মিলাদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। পরে মিলাদের সাড়ে পাঁচশ প্যাকেট খাবার দেড়শ বাড়িতে গিয়ে নিজে বিতরণ করেন।
“ওই রাতে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. কাইয়ূম তালুকদার ওই ব্যক্তিকে তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে বলে জানান।”
ইউএনও বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির ভাই ঢাকায় মারা যান। তাকে খাগবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়। তিনি দেড়শ পরিবারের মাঝে সাড়ে খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেন।
“তাই এলাকাবাসীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা দেড়শ পরিবারকে অবরুদ্ধ করেছি। পাশাপাশি এলাকার দুইটি মসজিদের মাইকে বিষয়টি ঘোষণা করেছি।”
এছাড়া এলাকার যে সকল লোকজন নামাজ পড়তে মসজিদে যান তাদের আপাতত বাড়িতে নামাজ আদায় ও বাড়িতে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।