ঠাকুরগাঁওয়ে নার্সসহ আরও ছয়জন আক্রান্ত

ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি হাসপাতালের এক নার্সসহ আরও ছয়জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জনে দাঁড়াল।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2020, 12:28 PM
Updated : 16 May 2020, 12:53 PM

শনিবার ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকার এ কথা জানান।

আক্রান্তরা হলেন-ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স (৩৯), তার বাড়ি শহরের হাজীপাড়ায়।রাণীশংকৈল উপজেলার সহোদর গ্রামের এক গৃহবধূ (৩৮), বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর গ্রামের তরুণী (২২), হরিপুর উপজেলার কামারপুকুর গ্রামের ৪১ বছরের এক ব্যক্তি, একই উপজেলার এক গৃহবধূ (৩৫), ও জীবনপুর গ্রামের এক যুবক (২৭)।

গত ১০ ও ১১ মে আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল।

সিভিল সার্জন বলেন, সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে কাজ করতেন ওই নার্স। হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ্ হয়ে পড়লে ১০ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ফলফলে তার শরীরে কোভিড-১৯ উপস্থিতি পাওয়া যায়। তবে তিনি কার সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন তা জানা যায়নি।

করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে একই দিন রাণীশংকৈলের সহদোর গ্রামের এক নারীর নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়। পরীক্ষা শেষে তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর আগে গত ৭ মে তার স্বামী (৪৮) আক্রান্ত হয়েছিল। স্বামীর সংস্পর্শে তিনি আক্রান্ত হন বলে জানান মাহফুজুর।  

তিনি বলেন, বালিয়াডাঙ্গীর আমজানখোর গ্রামের এক তরুণী গত ৫ মে গাজীপুর থেকে আসেন। এরপর ৭ মে ঢাকা থেকে হরিপুরের কামারপুকুর গ্রামে আসেন বাংলাদেশ রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত এক ব্যক্তি, আর ১০ মে টাঙ্গাইল থেকে হরিপুরের জীবনপুর গ্রামে আসেন এক যুবক। খবর পেয়ে তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এছাড়া ৭ মে হরিপুর উপজেলার গৃহবধূ ঢাকায় স্বামী রেলওয়ে কর্মকর্তার বাড়িতে যাওয়ার আগে তার নমুনা নেওয়া হয়।

“নতুন আক্রান্তদের সবাইকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। আক্রান্তরা কাদের সংস্পর্শে এসেছে সেসব তথ্য-উপাত্তও সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।”

সিভিল সার্জন বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ঢাকা, রংপুর ও দিনাজপুরে পরীক্ষা জন্য ৯৭২ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ৮৬৮ জনের ফলাফল পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা থেকে ২৯ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে।