শনিবার সন্ধ্যায় বেজড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান জানান।
এসপি সাইদুর রহমান খান বলেন, “দিস্তাল গ্রামে সংঘর্ষ ও বাড়ি ভাংচুরের একটি মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার নিয়ে আসার সময় একজনকে গ্রামবাসী ছিনিয়ে নিয়েছে। অপর আসামিকে মুকসুদপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।”
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোপালগঞ্জ পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, গত ৬ মে মুকসুদপুর উপজেলার খান্দারপাড় ইউনিয়নের দিস্তাল গ্রামে অধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা হয়।
শনিবার বিকালে এই মামলার আসামি নিজাম মোল্লা (৫২) ও নুরু মোল্লাকে (৪০) পুলিশ দিস্তাল গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে বলে তিনি জানান।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আটক আসামিদের মুকসুদপুর থানায় নিয়ে আসার পথে সন্ধ্যায় বেজড়া এলাকায় খান্দারপাড় ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির খানের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি নুরু মোল্লাকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশের প্রতিরোধের মুখে অপর আসামি নিজাম মোল্লাকে ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়।
এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, যারা মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
হামলা প্রসঙ্গে সাব্বির খান বলেন, “আমি পুলিশের উপর হামলা করিনি; বরং পুলিশ হামলা চালিয়ে আমার ৫০-৬০ জন সমর্থককে আহত করেছে।”