গাজীপুরে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান খুন: গ্রেপ্তার আরও ৫

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান হত্যার ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2020, 04:55 PM
Updated : 29 April 2020, 04:55 PM

বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।  

গ্রেপ্তাররা হলো শ্রীপুর উপজেলার আবদার গ্রামের আরছোপ আলীর ছেলে কাজিম উদ্দিন (৫০), আলাল উদ্দিনের ছেলে মো. বশির (২৬), ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ফকিরপাড়ার হবি উদ্দিনের ছেলে মো. হেলাল (৩০), সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার গাবি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মো. হানিফ (৩২) এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার কাঁঠালবাড়ির আজিদ উল্লাহর ছেলে এলাহী মিয়া (৩৫)। 

এ নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে এক কিশোরকে (১৭) গ্রেপ্তার করা হয়, যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার রাতে আবদার এলাকায় একটি দোতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিজেদের ঘরে একটি কক্ষে মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করে হামলাকারীরা।

ওই ঘটনায় প্রবাসীর বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

র‌্যাব-১-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রথমে শ্রীপুরের আবদার এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধর্ষণ করে; পরে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে হত্যা করে ৩০ হাজার টাকা এবং মা-মেয়ের গলার চেইনসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে।

র‌্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই পাঁচজনের মধ্যে একজনের ছেলেও (১৭) এ ঘটনায় জড়িত। এই কিশোরকেই পিবিআই এর আগে গ্রেপ্তার করেছে এবং সে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (২৯ এপ্রিল) র‌্যাব শ্রীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের দেওয়া তথ্য মতে লুট করা মালামাল, আসামিদের একটি হলুদ রংয়ের গেঞ্জি, একটি জিন্সের প্যান্ট, তিনটি লুঙ্গি, একটি আংটি উদ্ধার করে।

এতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিকভাবে ওই খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা সকলেই মাদকসেবী। এদের মধ্যে কাজিম উদ্দিন রিকশাচালক, হানিফ শ্রমিক, বশির অটোরিকশা চালক, হেলাল ভাঙারি বিক্রেতা ও এলাহী শ্রমিক।

র‌্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত। সবাই জুয়াড়ি এবং নিহদের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় নিয়মিত জুয়া খেলত, মাদক সেবন করত ও আড্ডা দিত। তাদের নানাভাবে হয়রানি করত। আগে গ্রেপ্তার কিশোর দেড় মাস আগে ভিকটিমের ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় ধরা পড়েছিল।