এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে হাসপাতালটির প্যাথলজি বিভাগ ও বহির্বিভাগ লকডাউন করা হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহফুজার রহমান বলেন, “শনাক্ত হওয়া ওই টেকনোলজিস্টকে জেলার অস্থায়ী আইসোলেশন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
“এছাড়া তার চার সহকর্মীকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।”
শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তির গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গা গ্রামের বাড়ীও লকডাউন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আপাতত কয়েকদিন হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনের ওই চারজনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হবে। তাদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলে প্যাথলজি বিভাগের সেবা পুনরায় চালু করা হবে।”
তবে এ চারজনেরও যদি করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয় তাহলে প্যাথলজি বিভাগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে বহির্বিভাগের সেবা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে দেওয়া হবে।
গাইবান্ধার সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ বলেন, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে যারা করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে যেতেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল প্যাথলজি বিভাগে। পরে এসব নমুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) করোনা শনাক্তের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হতো।
“এ কাজে যুক্ত ছিলেন প্যাথলজি বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) তিনজন, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট একজন ও এমএলএসএস একজন। সম্প্রতি এক মেডিকেল টেকনোলজিস্টের (ল্যাব) করোনার উপসর্গ কাশি দেখা দিলে ২২ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে রমেকে পাঠানো হয়।”
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাতে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। বুধবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্যাথলজি বিভাগ ও বর্হিবিভাগ শাখা লকডাউন ঘোষণা করে তালাবন্ধ করে দেয়।
এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তর সংখ্যা হল ১৯ জন। হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে এক হাজার ১৪৬ জন । এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ৩৫ জন।