নয় দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার দুপুরে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় তাকে।
তার বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের আউলিয়াগঞ্জে।
রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেসন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস এম নূরুন্নবী জানান, এক মাস ঢাকায় অবস্থান শেষে গত পহেলা এপ্রিল রংপুরে ফেরেন সেই প্রবীণ। এ সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি।
রংপুরে পৌঁছে শহরের খামার মোড়ে জামাইয়ের বাড়িতে ওঠার পর জ্বর, সর্দি, ও কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয় তার। পরে ১৪ এপ্রিল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটিআই কর্নারে চিকিৎসা নিতে আসেন তিনি বলে জানান এই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।
তিনি আরো জানান, এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তার রোগের লক্ষণ ও ইতিহাস জেনে করোনাভাইরাস সন্দেহে নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন। ওইদিন তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। দুদিন পর ১৬ এপ্রিল করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওই প্রবীণ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
“পরপর দুইবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাকে হাসপাতাল হতে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”
রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেসন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এসএম নূরুন্নবী বলেন, “সুস্থ থাকার কারণে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।”
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সময় চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুল দিতে দেখা যায়।