মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ইউএনও, সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে বসা ওই বৈঠকে ‘ভুল হয়েছে’ বলে এমন কাজ আর না করার প্রতিজ্ঞাও করেন সেই যুবক।
তার এ ঘটনা নিয়ে সোমবার রাত ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষেদের কনফারেন্স হলে বেঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসন ও সনাতন ধর্মালম্বী নেতারা উপস্থিতি ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, “শ্রীমঙ্গল সম্প্রীতির উপজেলা। এখানে সব ধর্মের মানুষ একে অন্যের সাথে সম্প্রীতি বজায় রেখে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। এখানে যদি কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
“ওই সভায় সুমন তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং তার অনুতপ্তের বিষয়টি বিবেচেনায় নিয়ে ভবিষ্যতে এ রকম কোনো ঘটনার না ঘটনানোর শর্তে তাকে ক্ষমা করা হয়।”
পূজা পরিষদের নেতারা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাকে ক্ষমা করার জন্য সভায় জানালে ‘ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটানোর জন্য সতর্ক করে তাকে ক্ষমা করা হয়।
শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল এর সিনিয়র এএসপি আশরাফুজ্জামান বলেন, “দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে তিনি যে কাজ করছেন, এটি অব্যশই একটি জঘন্য এবং আইন বিরোধী কাজ।
“শ্রীমঙ্গল একটি সম্প্রীতির এলাকা এখানে ধর্মীয় উস্কানি প্রশাসন কঠোর হাতে দমন করবে।”
এ ফেইসবুক লাইভ ছড়িয়ে পড়লে সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক নিন্দা ও প্রতিবাদ হয়। অনেকে আইনের আওতায় এনে তার শাস্তির দাবিও করেন।
এরপর তার পরিবারের সদস্যরা মীমাংসার জন্য শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদে আসেন বলে জানান এ পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়।
এদিকে ওই বৈঠকে বসার আগেই ওই যুবক তার ফেইসবুক আইডি থেকে তার ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশও করেন।