বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আল ইমরান শনিবার রাতে একথা জানিয়েছেন।
এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা হলো সাত। এর মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইউএনও বলেন, ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তির বাড়ি বড়লেখার কাসেমনগর গুচ্ছ গ্রামে। বাড়ির পাশে সুমনবাগ চা বাগানে একটি খাবারের দোকান পরিচালনা করেন তিনি।
“ওই যুবক করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সিলেটে শহীদ সামছুদ্দিন হাসপাতালে করোনার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ভর্তি ছিলেন।”
বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রত্নদীপ বিশ্বাস জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে রাতেই আক্রান্ত ব্যক্তির গ্রাম ও দোকান এলাকাকে লকডাউন করা হয়েছে। তবে তার শরীরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর আগে থেকেই তার বাড়ি লকডাউন করে রাখা ছিল।
এদিকে, শনিবার শ্রীমঙ্গল ও রাজনগরে আক্রান্ত দুজনের সংস্পর্শে থাকা সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের বসবাস স্থল ও কর্মস্থল এবি ব্যাংক লকডাউন করা হয় বলে জানান মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন তাওহীদ আহমদ চৌধুরী।
তাওহীদ আহমদ চৌধুরী বলেন, এ পর্যন্ত মৌলভীবাজারে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৫০টি। এর মধ্যে প্রজিটিভ পাওয়া যায় ছয় জনের। আরেকজন মৌলভীবাজারের বাসিন্দা ঢাকায় অবস্থানকালে করোনা আক্রান্ত হয়ে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।