সাভার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. জাকারিয়া হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে রাজিম ভুঁইয়া মিশু নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।
সাভার বাজার রোডের বাসিন্দা মিশু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে নিজেকে থানা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন। তবে মামলার নথিতে তিনি তার কোনো পরিচয় দেননি।
মামলার আসামিদের মধ্যে একজন হলেন স্থানীয় সাপ্তাহিক ‘নিউজ গার্ডেন’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ওমর ফারুক (৪০)। এছাড়া রাজিব মাহমুদ (৩২) ও ওবায়দুর রহমান অভি (৫০) নামে দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে একজন ‘ফেইসবুকে মিথ্যা পোস্ট দিয়েছেন’ আর অন্যজন তা‘কে ‘সহযোগিতা’ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দেশের শীর্ষস্থানীয় ডজনখানেক অনলাইন, দৈনিক পত্রিকা ও টেলিভিশনে আসা এক খবরে বলা হয়, সন্তানের খাবার কেনার অর্থ জোগাড় করতে সাভারে মাথার চুল বিক্রি করেছেন এক নারী।
পরদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজুর রহমানের নামে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত মাথার ‘চুল বিক্রয় করে বাচ্চার দুধ কিনলেন মা’ শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নিজস্ব পদ্ধতিতে তদন্ত শুরু করি। তদন্তে প্রমাণিত হয় সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
ওই ঘটনায় সাভার বাজার রোডের বাসিন্দা রাজিম ভুঁইয়া মিশু বাদী হয়ে পরে মামলা করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “অভাবের তাড়নায় চুল বিক্রি করার ঘটনাটি মিথ্যা। এ নিয়ে খবর প্রকাশ হওয়ার আগেও ওই নারীকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছিল।
“সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য ‘সেইভ সাভার’ নামে ফেইসবুক আইডিতে এর অ্যাডমিন রাজিব মাহমুদ মাথার চুল বিক্রি করে শিশুর দুধ কেনার একটি মিথ্যা পোস্ট দেন। এরপর ওবায়দুর রহমান অভি ওই নারীকে খাদ্যসামগ্রী দিতে যান, যা ফেইসবুকে লাইভ করেন ওমর ফারুক।”
এ ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আসামিরা পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক জাকারিয়া হোসেন।