শনিবার বেলা ১২টার দিকে শহরের কালেক্টরেট চত্বরে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চৌড়হাঁস ক্যানালপাড়ার বাসিন্দারা এক ঘণ্টার মতো অবস্থান করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন নতুন তালিকা করে খাদ্য সহায়তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা কালেক্টরেট চত্বর ত্যাগ করেন।
অবস্থানকারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে তাদের ঘরে বন্দি করেছে সরকার। ঘর থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। কাজ করতে পারছেন না। ঘরে খাবার নেই, ছেলেমেয়ে নিয়ে না খেয়ে খুবই কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
জিকে ক্যানালপাড়ের বাসিন্দা হোটেল শ্রমিক খাদিজা খাতুন বলেন, “টেলিভিশনে দেখি ডিসি সায়েপ কুষ্টিয়ায় তিন লাক লোকের রিলিপ দেচে; তালি আমরা কি তিন লাকের বাইরে? যেকেনে কাজ করতাম তারাও কোন খোঁজ ল্যেই না, কমিশনাররাও দ্যাকে না, প্যাটে পাতর বাঁইদি আর কতকন ঘরের ভিতরে বসি থাকি তো ক্ষিদি মেটে না; দেখি আইজ ডিসি স্যারের একেনে কিছু হয় কি না।”
কুষ্টিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফ-উল-হক মুরাদ বলেন, চৌড়হাঁস ক্যানাল পাড়ায় ৮০ জনকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ বিতরণে মুখ চিনে দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। ওরা সহায়তা পেলেও এমন কথা বলবে না পেলেও একই কথা বলবে। পর্যায়ক্রমে তাদের ত্রাণ সাহায্য দেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, “এখনও যারা বলছেন ত্রাণ পায়নি, তাদের ভোটার আইডি কার্ড জমা নেওয়া হয়েছে। না পেয়ে থাকলে অবশ্যই তারা খাদ্য সহায়তা পাবে।”