এ পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে কক্ষে জরুরি সভা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন।
যেখানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী উপস্থিত ছিলেন, যিনি এদিন দুপুরে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে তার সিটিতে ‘লকডাউন অথবা কারফিউ জারির দাবি করেন।
সভার পর জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, “সিটি ও সদর উপজেলা এলাকায় কেউ বাসা থেকে বের হতে পারবে না, বাইরে থেকে কেউ আসতেও পারবে না।”
“রিকশা ছাড়া যাত্রী বহনকারী কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। শুধু খাদ্য বহনকারী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারবে।”
শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার পর সব গার্মেন্টস বন্ধ করে দেওয়ার জন্য গার্মেন্টস মালিকদের প্রতি সভায় আহ্বান জানানো হয়।
“আইইডিসিআর এ পরামর্শ অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের এলাকা ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা এলাকা অঘোষিত লকডাউন থাকবে।”
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ওই সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল মোত্তাকিম, র্যাব-১১ অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজাসহ কর্মকর্তারা।
এ মিটিং-এর পর জেলার পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, “তিন থানা এলাকা অঘোষিত লকড ডাউন।”
আইইডিসিআর পরামর্শ অনুযায়ী ‘অঘোষিত লকডাউন’ করার কথা তিনিও উল্লেখ করে হুঁশিয়ার করে বলেন, “কেউ এই আইন লঙ্ঘন করার চেষ্টা করলে আমরা এ্যাকশনে যাব।”
এ জেলায় স্বাস্থ্যবিভাগের হিসেবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন এক নারীসহ মোট ১১ জন। কয়েকটি এলাকা রয়েছে লকডাউনে আটকা।
এই পরিস্থিতিতে রোববার দুপুরে সিটি মেয়র আইভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সিটি এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে লকডাউন অথবা কারফিউ জারির জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলেন।