৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মধ্য কাইচাইল গ্রামে। তিনি তাবলীগ জামাতের একটি দলের সঙ্গে সিঙ্গাইর এসেছিলেন।
ওই ব্যক্তি ঢাকার রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা (আইইডিসিআর) ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা তাবলীগ জামাতের ১২ সদস্য, মসজিদের ইমাম ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ এ পর্যন্ত মোট ২৯ জনকে তাদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লা বলেন, ১২ দিন ধরে তাবলীগ জামাতের ১৩ সদস্যের একটি দল সিঙ্গাইর পৌর এলাকার আজিমপুর নয়াডিঙ্গীতে ‘বাইতুল মামুর ও মারকাযুল মা আরিফ ওয়াদ-দা ওয়াহ্ মাদ্রাসা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মসজিদে অবস্থান করে।
গত ২৪ মার্চ ফরিদপুর থেকে তাবলীগ জামাতের এই দলটি এসেছে। কয়েক দিন আগে তাদের মধ্যে একজনের সর্দি, জ্বর ও কাশি হয়।
ইউএনও বলেন, শুক্রবার রাতে ঢাকায় আইইডিসিআরে গিয়ে তিনি পরীক্ষা করান। শনিবার রাত ১১টার দিকে তার শরীরে করোনাভাইরাস পজেটিভ শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইইডিসিআর। এর পর থেকে তাকে আইইডিসিআর পরিচালিত আইসোলোশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
“আইইডিসিআর থেকে শনিবার রাত ১২টার দিকে এ খবর জানানোর পর সিঙ্গাইর পৌর এলাকা লক ডাউন ঘোষণা করা হয়।”
লক ডাউন কার্যকর করতে পৌর এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাইর থানার ওসি আব্দুস সাত্তার।