নিয়ম ভেঙে হাসপাতালে ঢুকে সাংবাদিক কোয়ারেন্টিনে

গাজীপুরে নিয়ম ভেঙে হাসপাতালে প্রবাসীদের খবর সংগ্রহ করতে ঢোকায় এক চ্যানেলের ভিডিও কর্মীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করেছে প্রশাসন।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2020, 06:37 PM
Updated : 21 March 2020, 06:37 PM

শনিবার শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পাবুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসীদের ভিডিও করতে যান।

বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো রমজান আলী রুবেল (৩৫) চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরা পারসন।

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সদ্য বিদেশ ফেরতদের বেশিভাগকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। তবে এদের কয়েকজন প্রশাসনের ব্যবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালেও রয়েছেন।

পাবুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ইতালি থেকে আসা সাতজন প্রবাসী কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। যাদেরকে প্রথমে জেলার মেঘডুবি মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। পরে সেখানে আট জনের শরীরে জ্বর অনুভুত হওয়ায় ঢাকার উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুই দফায় তারা আটজন যান সেখানে। পরে তাদের একজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর বাকী এই সাতজনকে পাবুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আনা হয়।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম তার ফেইসবুক পেইজে জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে চ্যানেল আইয়ের ফটো সাংবাদিক রমজান আলী রুবেল কাপাসিয়া মা ও শিশু কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ও দায়িত্বরত আনসারকে ভুল বুঝিয়ে কোয়ারেন্টিনে প্রবেশের নিয়ম না মেনে প্রবেশ করেন।

‘কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষের সংস্পর্শে যাওয়ায় তার স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে তাকে শ্রীপুর থেকে কাপাসিয়া মা ও শিশু কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে নিয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

শ্রীপুর পুলিশের সহযোগিতায় কাপাসিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সেখানে নেওয়া হয়।

শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, বিকালে ঘটনাটি শুনেই রমজানকে থানা চত্বরের বাইরে দীর্ঘক্ষণ পুলিশি নজরে রাখা হয়। পরে কাপাসিয়া থেকে অ্যাম্বুলেন্স এসে তাকে নিয়ে যায়।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের এ মহামারীতে দেড়শর বেশি দেশে বাংলাদেশে দুজনসহ ১১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিষেধকহীন এ রোগ নিয়ন্ত্রণে জনসমাগম এড়িয়ে চলাকে দুনিয়াব্যাপী গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ লকডাউন ঘোষণা করে নাগরিকদের ঘরের ভেতর থাকা নির্দেশ দিয়ে আসছে।