রোববার বিকালে জেলা শহরের কলেজপাড়া হাজী রোড়ে এক বাড়ি থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার ও ঘাতক মাকে আটক করছে পুলিশ।
ঘাতক মা সুফিয়া বেগম (৩৬) হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইদুর রহমান বলেন, সুফিয়া তার তিন বছর বয়সী শিশুকন্যা মাহিমাকে গলা টিপে হত্যা করেছেন।
“হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা বলে চালানোর জন্য মরদেহ ঘরে রেখে গ্যাসের সিলিন্ডারে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।”
তবে প্রতিবেশীরা ধোঁয়া দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এরপর এলাকাবাসীর তথ্যের ভিক্তিতে ঘটনাস্থল থেকে শিশু ফাহিমার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, শিশুটির শরীরে আগুনে কোন আলামত না থাকায় সন্দেহ হওয়ায় সুফিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
“এ সময় তিনি নিজেই তার সন্তানকে গলা টিপে হত্যার কথা স্বীকার করেন।“
হত্যার কারণ হিসেবে সুফিয়া সাংবাদিকদের জানান, তিনি ক্যান্সার রোগ আক্রান্ত। এছাড়া দুই মাস আগে স্বামীর সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।
তিনি বাঁচবেন না এ কারণে শিশুকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেন।
তবে পুলিশের কাছে অন্য তথ্য দিয়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের দাবি, মাদকসেবী সুফিয়া মাদক ও যৌন ব্যবসায় জড়ি।
তারা জানান, প্রায় তিন বছর ধরে কলেজ পাড়ার সাহাদৎ হোসেনের বাড়ির তিন তলায় দ্বিতীয় স্বামী মনু মিয়ার সাথে বসবাস করে আসছিলেন সুফিয়া। তার প্রথম স্বামী আবু তালেবের ঘরে তার আরো দুইটি মেয়ে রয়েছে। তারা বাবার সাথে মাগুরা শহরের অন্য এলাকায় বাস করে।